Explore this blog by clicking on the labels listed along the right-hand sidebar. There are lots of interesting stuff which you won't find on the home page
Seriously curious about me? Click on ' What sort of person am I?'

Friday, January 30, 2015

shotto bagher goppo

পুপুরানী যখন খুব ছোট্টটি ছিল তখন একবার দাদু দিদাকে নিয়ে চিড়িয়াখানা দেখতে গেছিল। সেখানে কেঁদো বাঘের চেহারা আর রকম সকম দেখে তো তার চক্ষু স্থির। বাড়ি ফেরা অবধি তার শান্তি নেই, কতক্ষণে বাবাকে গিয়ে খবরটা দেওয়া যায়।  তারপর যখন সে চোখ পাকিয়ে ইয়া বড়া হাঁ করে 'হালুম!' বলেছে তখন বাবা কি ভয়ানক রকম ভয় পেয়ে গেছে তা দেখে তো সে হেসেই কুটিপাটি।বাবাটি যে তার এতবড় একটা ভীতুর ডিম এ'খবরটা তার এতদিন জানাই ছিল না। অতঃপর বেশ কিছুদিন ধরে চলল তার এই বাবাকে ভয় দেখানোর খেলা।  তারপর একদিন বোধ করি তার মায়া হল, তখন সে বলল, 'বাবা, তুমি বাঘ দেখতে যাবে? ভয় নেই, আমি নিয়ে যাব সঙ্গে করে।' 

কথাটা অবিশ্যি ঠিক অমনি করে বেরোল না - পরিষ্কার করে বলার মত বয়স হয়নি তো। বাবাকে বুঝে নিতে হয়েছিল।  ক্রমশ পুপুর খেয়াল হলো, এখন থেকে তার নাম হবে 'শোত্তো বাঘ'। বাবা তাকে রাতে ঘুম পাড়াবার সময়ে গান গাইত তো, তারপর কবে যেন একটা শোত্তো বাঘের গল্প বলে ফেলেছিল, সেই থেকে পুপুর নেশা হয়ে গেল, সে খালি বাঘের গল্প শুনবে। বাবা যত তাকে এটা ওটা অন্য সব গল্প শোনায়, সে ভোলবার পাত্রী নয়। টুনটুনির গল্প, বুদ্ধু ভুতুমের গল্প, আলাদিনের গল্প, সিনডেরেলার আর ঘুমন্ত রাজকন্যার গল্প, সব শুনেটুনে শেষে বলে, 'এবা-র একটা বাঘের গপ্প  বল, ভালো বাঘ, শোত্তো বাঘের গপ্প।' বাবা পড়ল মহা মুশকিলে। রোজ অত নতুন নতুন ছোট্ট বাঘের গল্প কোথায় পায়? শেষটায় একদিন নিজেই গপ্প ফেঁদে বসল। .....

ছোট্ট বাঘটা ছিল খুব ছটফটে। সকালের আলো  ফুটতে না ফুটতেই তার গুহা থেকে লাফিয়ে খেলতে বেরিয়ে যাওয়া চাই। ঢের বন্ধুবান্ধব তার, তাদের সঙ্গে নিয়ে সে রোজ নিত্যনতুন জায়গায় খেলতে যায়। মা তার প্রায়ই বলে, বেশি দূর যাসনে খোকা, গুরুজনদের কথা অমান্য করিসনে - কিন্তু কে শোনে সেসব কথা? অত সাবধান হলে সব মজাটাই মাটি হয়ে যাবে না? অবিশ্যি সর্দারিতে তার প্রানের বন্ধু মোট্টুরাম হাতির ছানাও কিছু কম যায় না। তার সঙ্গে সব খেলাতেই আছে, আবার বড়দের মত সমানে পিছন থেকে টিকটিক করতেও ছাড়ে না। এমন বিজ্গের  মত সব উপদেশ দেয় যেন তার নিজের বয়স তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে। ছোট্ট বাঘ খুব বেশি দুষ্টুমি করলে বলে 'দাঁড়া, তোর বাবা ঘরে ফিরলে বলে দেব।' বাবাকে ছোট্ট বাঘ একটু সমীহ করে চলে কিনা! তাতেও কাজ না হলে তখন ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করে- 'আমার দাদুকে বলে দেব কিন্তু!' ব্যাস, ছোট্ট বাঘ এক্কেবারে ঠান্ডা মেরে যায়। না হয়ে উপায় কি? বুড়ো সর্দার দাদু হাতি হলেন গিয়ে জঙ্গলের রাজা। পাহাড়ের কোলে কাকচক্ষু অতল হ্রদের ধরে দাঁড়িয়ে ঢুলুঢুলু চোখে দুলতে দুলতে তিনি শুঁড় দোলান, জঙ্গলের সকল জীব প্রয়োজনে তাঁর কাছে সাহায্য বা আশ্রয় চাইতে যায়। তিনি যখন মাটি কাঁপিয়ে বিশাল দুই দাঁত বাগিয়ে ধীর পায়ে হাতির পালের আগে আগে চলেন, তখন বাবা বাঘ, যিনি কাউকে ভয় পান না, তিনি পর্যন্ত রাস্তা ছেড়ে দিয়ে ছায়ার মত ঝোপঝাড়ে ঢুকে যান। সেই দাদু হাতির সামনে আসামী হয়ে দাঁড়াতে হলেই হয়েছে আর কি!

তাই বলে যেন মনে কোরো না যে মোট্টুরাম হাতির ছানা নিজে একটি হাবাগোবা নিরীহ ভালোমানুষ! মোটেই না - মাথাটা তার ভারী ঊর্বর, আর বদমায়েশি বুদ্ধিতে ঠাসা। নতুন নতুন খেলা বানাতে  যেমন সে ওস্তাদ, বন্ধুকে ভয় দেখাতে আর পিছনে লাগতেও তেমনি। (ছোট্ট বাঘ আমাদের ভারী সরল কিনা, তাই তাকে বোকা বানানোও খুব সহজ, এটা আবিষ্কার করতে মোট্টুরামের বেশিদিন সময় লাগেনি।) একবার শুঁড় দিয়ে মৌচাকে ঢিল মেরে নিজে মৌমাছিদের খেপিয়ে আগেভাগে সরে পড়ে সে খোকা বাঘকে যারপরনাই নাস্তানাবুদ করেছিল; সে বেচারা মৌমাছিদের হাত থেকে পালাবার পথ পায় না, কামড়  খেয়ে একসা হয়েছিল, অনেকদিন লেগেছিল গায়ের ব্যথা জুড়োতে। আরেকদিন একগাছি আখ এনে মোট্টুরাম তাকে চিবোতে দিয়েছিল, বলেছিল 'তুই তো মাংসের হাড় খাস কড়মড়িয়ে, এটাতে তোর একটুও অসুবিধে হবে না, খেয়ে দেখ কি দারুন মিষ্টি!' সে বেচারা আখ চিবোতে গিয়ে কি বিচ্ছিরি নাজেহাল হয়েছিল কি বলব। আখের ছিবড়ে গিয়েছিল দাঁতের ফাঁকে আটকে, চনচনে মিষ্টিতে তার ওয়াক আসার মত অবস্থা, কতদিন ধরে যাচ্ছেতাই গন্ধটা এমন নাকে লেগেছিল যে মাংস খাওয়াটাই বন্ধ হওয়ার দাখিল। সেবার মা তাকে এয়সা বকেছিল যে কি বলব। 'তোকে বোকা পেয়ে মোট্টুটা যা খুশি তাই বোঝায় আর তুই উল্টে ওকে জব্দ করতে পারিস না? কি ভ্যাবাগঙ্গারাম তৈরি হচ্ছিস রে তুই!' 

জঙ্গলের ভিতরে যেখানে খুব গাছেঘেরা অন্ধকার আর চুপচাপ, ছোট্ট বাঘকে নিয়ে মোট্টু সেখানে একদিন খেলতে গেছিল। খানিকক্ষণ ময়ূর আর খরগোশ আর হরিণবাচ্ছাদের ভয় দেখিয়ে হুটোপাটি করে দুজনেই ঘেমে উঠল, জঙ্গলের মাথায় তখন সুয্যিঠাকুর আগুন ঢালছেন, গরমে প্রাণ আইঢাই। পাশেই গভীর কালো জলের পুকুর, কচুরিপানা ঠেলে মোট্টুরাম তো অবলীলাক্রমে নেমে গেল তার মধ্যে, ঘাড় পর্যন্ত ডুবিয়ে খানিকক্ষণ আরাম করল, তারপর উল্টোদিকের পাড়ে উঠে এক হাঁটু কাদার মধ্যে দাঁড়িয়ে শুঁড়ে করে জল ছিটোতে লাগলো নিজের গায়ে। ছোট্ট বাঘ বেশ হিংসেভরা চোখে তাকিয়ে দেখল। 

কি আর করে - জলকে তার বড্ড ভয়, নাহলে সেও নেমে পড়ত কখন! তো হয়েছে কি, একটা কাঠবেড়ালীকে তাড়া করে সে তো উঠে পড়েছে পুকুর পাড়ে বিরাট অশ্বত্থ গাছটার ওপরে। কাঠবেড়ালিটা তরতর করে এ-ডাল সে-ডাল হয়ে চলে গেছে একটা অতি সরু ডালের ডগায়, সে ডালটা আবার পুকুরের ওপর অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে, তার পিছনে পিছনে ছোট্ট বাঘও গেছে এগিয়ে, তারপর বেগতিক দেখে কাঠবেড়ালীটা দিয়েছে নিচের ডালটা তাগ  করে এক লাফ। বেখেয়াল হয়ে ছোট্ট বাঘও ঝট করে দিয়েছে সামনের থাবাটা বাড়িয়ে - কাঠবেড়ালী তো পালিয়েছে, ওদিকে সে টাল সামলাতে না পেরে একেবারে ঝপাং করে পুকুরের জলে। পড়ে প্রথমেই একপ্রস্থ নাকানি চোবানি। হাঁকপাঁক করতে করতে কোনক্রমে জলের ওপর মাথা তুলে দেখে মোট্টুরাম পাড়ে দাঁড়িয়ে দিব্যি নিশ্চিন্তে মজা দেখছে। ছোট্ট বাঘের সেই বিপদের মধ্যেও ভীষণ রাগ হয়ে গেল। 'দাঁড়িয়ে দেখছিস কি হতচ্ছাড়া? ডুবে যাচ্ছি, আমায় টেনে তোল!' ও হরি, তার চ্যাঁচানি শুনে মোট্টুরাম হেসে গড়িয়ে পড়ে যায় আর কি। 'এই পুকুরে ডোবার মত জল আছে নাকি? উঠে আয় নিজে নিজে!'

রাগে গশগশ করতে করতে প্রাণপণে হাত পা ছুঁড়ে পাড়ে উঠে সে তো মোট্টুকে এই মারে তো সেই মারে। তখন মোট্টুরাম বলে কি, 'সব বাঘেই জন্ম থেকে সাঁতার দিতে পারে, জানিস না? নাহলে তুই জল থেকে উঠে এলি কি করে?সাধে কি তোর মা তোকে বলে ভ্যাবাগঙ্গারাম!' - সত্যিই তো! আবার সে নিজের বোকামির জন্য বন্ধুর কাছে অপদস্থ হলো। যাক গে, এই বলে সে নিজেকে সান্ত্বনা দিল যে, বিপদে পড়ে নিজের একটা সহজাত ক্ষমতা তো জানা হয়ে গেল? আর কখনো জলকে ভয় পেতে হবে না, সেটা একটা মস্ত লাভ!

Tuesday, January 27, 2015

for Pupu, in days past

Another little poem I wrote for my daughter when she was very little:

যেদিন পুপু প্রথম গেল খোকাখুকুর ইস্কুলেতে 
ছাই রঙের জামা গায়ে, পিঠে ব্যাগ, জুতো পায়ে 
রইলো বাবা অবাক চোখে চেয়ে --
এই কি তার  ছোট্ট মেয়ে, জন্মালো যে এই তো সেদিন?
সময় গেল এমনি ধেয়ে, রইলো না আর স্নেহের অধীন?

শিক্ষিকা তার আদর করে নামটি দিলেন 'পুপুসিং'
তারস্বরে কলকলানি ভরিয়ে দিল সারাটা দিন। 
আঁকলো ছবি, গাইল গান, বলতে শিখল ছড়া কত,
'মারাপিটি ' দুষ্টুমিতে হাত পাকালো রীতিমত।
দু ঘন্টা পর টিফিন খেয়ে মা'র হাত ধরে ফিরত ঘরে,
দিনের শেষে বাবার সাথে দেখা হত আদর করে। 
এমনি ভাবে কেমন করে দুটো বছর গেল চলে,
সময় এলো চলে যাবার আরো দূরে আর এক স্কুলে।

বুঝলো বাবা, অমোঘ বিধান, এমনটাই যে জগত রীতি --
এমনি করেই মা'র প্রতি  তার গভীর হবে ব্যথার প্রীতি।

Sunday, January 25, 2015

God bless, Pooja!

I am proud as a teacher, a father, and an Indian male of Wing Commander Pooja Thakur, who became the first woman ever in India to give the Inter-Services Guard of Honour to a visiting head of state today. And I was thinking of Subhas Chandra Bose, who created one of the first all-women's army regiments in modern times. 

It is my prayer that today's young girls, especially educated girls, would look up to the likes of Kalpana Chawla and Pooja Thakur, Meera Borwankar and Leila Seth and Arundhati Bhattacharya and Nirupama Rao rather than Deepika Padukone and Kangana Ranaut and what they are wearing and which males they are flirting with. And it is my regret that not one of my girl students has grown up in that mould for me to boast about, though some have learnt all the smart buzzwords as, I suppose, a workable substitute - in their own eyes.

Thursday, January 15, 2015

Jaggu and Modesty

I am in love with Jaggu (Jagajjanani-) Sahni. Of course, the likes of her exist only in the (male-) artist’s imagination. But Anoushka Sharma has done well to prove in pk, even in this porcine age, that only a girl who has nothing else to show has to bare her physical ‘assets’ to get noticed and ‘admired’.

So also with my Natalie. So also with my long-time heartthrob, Modesty Blaise. God, what I wouldn’t give to be friends with a woman like that, whom I can respect so much – and obviously for far more important things than the fact that she is a lethal warrior, physically speaking. Those who are curious are welcome to find out for themselves. She is just incidentally beautiful, and has lots of beaux besides the one and only Willie Garvin always by her side in her hour of need, but the point is, she is such a wonderful human being, better than I can ever be! What an imagination that could create someone like her; what a man he must have been.

It is a matter of eternal shame to me that I looked at flesh and blood women again and again all my life and tried very hard to force myself to believe that they measured up to something even close to such dreams. Never again, I hope. If a man is to stay sane and live by certain principles which only men can understand, there are only three ways he should deal with women – and that is a given that has not changed in the whole history of civilization. Overarchingly, the thing to remember is that far too many women are congenitally incapable of thinking beyond shoes and smartphones and selfies and security and tradition and shopping and gossip and ‘fun’, no matter what they pretend, or even try to convince themselves of.

This year is going to be just mine and Pupu’s. Anybody else, except those who are paying me, and those who have consistently maintained warm, substantive and respectful relations with me for decades together, will be tolerated only if they make it evident that getting close to me matters to them far beyond a mere form of words. I have been thanklessly nice and attentive to too many random people in my life.